Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

কুমারখালী উপজেলার ইতিহাস

কুমারখালী কুষ্টিয়া অঞ্চলের মধ্যে অপেক্ষাকৃত প্রাচীন জনপদ। পদ্ম গর্ভ থেকে এই অঞ্চলের উদ্ভব হয়েছে বলে ধারণা প্রচলিত আছে। কুমারখালীর বিস্তীর্ণ এলাকা যে একসময় নদী গর্ভে ছিল তার প্রমাণ মেলে ‘চড়াইকোল’যুক্ত গ্রামনাম এবং কোল ও বিলের আধিক্য থেকে। কথিত আছে, নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ রাজস্ব সংগ্রহের জন্য কমরকুলি খাঁ-কে এই অঞ্চলের কালেক্টর নিযুক্ত করেন। তাঁর নামানুসারেই এই অঞ্চলের নাম হয় ‘কমরখালী’, যার অপভ্রষ্ট-রূপ বর্তমান ‘কুমারখালী’। কুমার নদীর খাল থেকে ‘কুমারখালী’ নামের উৎপত্তি এই ধারণাও কেউ কেউ পোষণ করেন।

 

প্রশাসনিক কাঠামো পরিবর্তনের কারণে কুমারখালীর অবস্থান ও মর্যাদা বারবার পরিবর্তিত হয়েছে। থানা থেকে মহকুমায় উন্নীত হয়ে কুমারখালীকে আবারও থানায় পরিনত হতে হয়। ইংরেজ শাসনের পূর্বে কুমারখালী অঞ্চল ফরিদপুর ও যশোরের অন্তর্ভূক্ত ছিল। পরবর্তীকালে থানা কিংবা মহকুমা হিসেবে কুমারখালী যথাক্রমে রাজশাহী, পাবনা, নদীয়া ও সবশেষে কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৮৫৭ সালে পাবনা জেলার অধীনে কুমারখালী, খোকসা, পাংশা ও বালিয়াকান্দী থানা নিয়ে কুমারখালী মহকুমার জন্ম। কিন্তু ১৮৭১ সালে নদীয়া জেলার কুষ্টিয়া মহকুমার সামিল হয়ে কুমারখালী মহকুমার মর্যাদা হারিয়ে পুনরায় থানায় পরিনত হয়। কুমারখালী থানার সদর দফতর ছিল পার্শ্ববর্তী ভালুকা গ্রামে। কুমারখালী এক সময নাটোর-রাজ্যের অধীনে ছিল। পরে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর-জমিদারির অন্তর্ভূক্ত হয়। কুমারখালী অঞ্চলে রাণী ভবানী ও তাঁর উত্তরপুরুষদের নির্মিত মঠ-মন্দির এবং জনহিতকর কর্মের কিছু নিদর্শন এখনো আছে।