Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Title
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ী
Location
শিলাইদহ, কুমারখালী, কুষ্টিয়া।
Transportation
কুষ্টিয়া শহর হতে রবীন্দ্রনাথ এর কুটি বাড়ির দূরুত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। কুষ্টিয়া শহর হতে অটো রিক্সা, সিএনজি ও ইজি বাইক ও অন্যান্য বাহন যোগে সহজেই এবং খুবই কম খরচে শিলাইদহ কুটি বাড়ি যাওয়া যায়।
Details

শিলাইদহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় অবস্থিত একটি এলাকা। এখানে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর স্মৃতি বিজড়িত কুঠিবাড়ি অবস্থিত। রবীন্দ্রনাথ তাঁর যৌবনকালের একটি উল্লেখযোগ্য সময় এখানে কাটিয়েছেন। শিলাইদহ কুঠীবাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী।

 

কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার একটি গ্রাম শিলাইদহ। পদ্মা নদীর কোল ঘেঁষে গ্রামটির পূর্ব নাম খোরশেদপুর। রবীন্দ্রনাথের দাদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮০৭ সালে এ অঞ্চলের জমিদারি পান। পরবর্তিতে ১৮৮৯ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে জমিদার হয়ে আসেন। এখানে তিনি ১৯০১ সাল পর্যন্ত জমিদারী পরিচালনা করেন। এ সময় এখানে বসেই তিনি রচনা করেন তার বিখ্যাত গ্রন্থ সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালী, গীতাঞ্জলি ইত্যাদি। এখানে রবীন্দ্রনাথের সাথে দেখা করতে এসেছেন জগদীশ চন্দ্র বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, প্রমথ চৌধুরীসহ আরো অনেকে।

 

 

 

 

 

 

 

 

এদিকে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় বেদখল হতে চলেছে কবি গুরুর স্মৃতিবিজরিত কাচারি বাড়িসহ এর আশপাশের বেশ কিছু জায়গা। কুষ্টিয়ার কুমারখালীর অন্যমত একটি পর্যটনকেন্দ্র হল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর কুঠিবাড়ী। বছরের বেশিরভাগ সময় এখনে দেশী বিদেশী পর্যটকের পদচারনায় মুখরিত থাকলেও পর্যটন মওসুমে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে যায় আরো কয়েকগুণ। ২২ বিঘা জমির প্রায় চার বিঘার ওপর প্রাচীর বেষ্ঠিত তিনতলা ভবন কুঠি। এর কামরার সংখ্যা ১৮টি। ১৮ কামরায় ৮৩টি জানালা, ১৮টি কারুকার্য খচিত দরজা রয়েছে। এসব কামরায় শতাধিক দুর্লভ ছবি ও কবির ব্যবহৃত বিভিন্ন আসবাবপত্র সংরক্ষিত রয়েছে। কুঠিরের পিছনেও রয়েছে ১টি আকর্ষণীয় লোহার তৈরি পেঁচানো সিঁড়ি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য জীবনের বিরাট অংশের সাথে জড়িয়ে আছে পদ্মা ও গড়াই নদী। এখানেই কবির যৌবনের প্রথম ছোটগল্পর সূত্রপাত ঘটেছে। শিলাইদহে বসেই রবীন্দ্রনাথ পল্লীর অনুকূল পরিবেশের রূপ দর্শন করে অনর্গল লিখেছেন। এটা ছিল সাহিত্য সৃষ্টির উর্বর স্থান। এখানে বসেই কবি গুরু সোনার তরী, মানব সুন্দরী, উর্বশী, চিত্রা, ক্ষণিকা, গীতিমাল্যের অনেক কবিতা ও গানসহ নোবেল প্রাপ্ত গীতাঞ্জলি এই শিলাইদহে বসেই লিখে ছিলেন।  আর সে জন্যই কবি লিখেছেন ‘আমার জীবনের যৌবনও পৌড় জীবন সায়াহ্নে সাহিত্য সাধনার তীর্থস্থান ছিল পদ্মা প্রবাহ চুম্বিত শিলাইদহ। কবি এখানে একটানা ১৮৯৯ থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত জমিদারী পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও সাহিত্য সাধনার জন্য কবি দূর থেকে বার বার ছুটে এসছেন শিলাইদহে। সাহিত্য সাধনার কবি কতবার যে শিলাইদহে এসছেন তার কোন হিসাব নেই। ঐতিহাসিক কুঠিবাড়ীর পশ্চিমে রয়েছে কবির সাহিত্য সাধনার এক মহতি নিদর্শন ‘বকুল তলার ঘাট'। এই বকুল তালার পুকুর ঘাটে বসেই বিশ্ব কবি লিখেছেন ‘যে দিন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে'।  বর্তমানে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় কুঠিবাড়ী সংরক্ষণের দয়িত্বে রয়েছেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য জীবনের বিরাট অংশের সাথে

জড়িয়ে আছে পদ্মা নদী তাই পদ্মা নদীর ঢেউয়ের মতো করেই কুঠিবাড়ীর চতুর পার্শ্বে প্রাচীর দেয়া হয়েছে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে কুঠিবাড়ীর সম্মুখে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতীর ফুলের বাগান।